খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যা বললেন তসলিমা নাসরিন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করেন এ লেখিকা।
ফেসবুক পোস্টে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘খালেদা জিয়ার সরকার ১৯৯৪ সালে লোকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছি এ অভিযোগ করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আমার লেখা লজ্জা, উতল হাওয়া, ক, সেসব অন্ধকার নিষিদ্ধ করেছিল। ছলে বলে কৌশলে আমাকে দেশ থেকে বের করেছিল। দেশে আর প্রবেশ করতে দেয়নি।’
‘তারপরও আমি চাই, খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে চায় শুভাকাঙ্ক্ষীরা, নিয়ে যাক। তারপরও আমি চাই তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’
আরআর/এসএস
মন্তব্য করুন
‘আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ’
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনও নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা বিএনপির
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী ও যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদ হারুনসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) সমাবেশ ও মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে ওইদিন দুপুর আড়াইটায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২০ এপ্রিল) মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য (ভারপ্রাপ্ত দপ্তর) সাইদুর রহমান মিন্টু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে যথাসময়ে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানানো হয়।
২ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
রোববার (২১ এপ্রিল) দলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচনও বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নিতে তৃণমূলের নেতাদের প্রতি বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের সরে দাঁড়াতে বললেও অনেকে নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় বহিষ্কার শুরু করেছে বিএনপি।
আবারও রাজপথে মুখোমুখি হচ্ছে আ.লীগ-বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আবারও রাজপথে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দল দুটি একই দিনে (২৬ এপ্রিল) রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। এতে নতুন করে রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দুই দলের কর্মসূচির স্থান ও সময় কাছাকাছি হওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত সাত জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপি তেমন কোনো বড় আন্দোলন কর্মসূচি দেয়নি। ভোটের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর আগামী ২৬ এপ্রিল রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ওইদিন বিকেল আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার এক দিন পর রোববার (২১ এপ্রিল) একই দিন একই সময়ে কাছাকাছি স্থানে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
দলটি আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এই সমাবেশ করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দেশের প্রধান দুটি দলের আবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে জনমনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতীতের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় অনেকে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রায় এক বছর রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। তবে তাদের ডাকা প্রায় প্রতিটি কর্মসূচির দিনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে।
কায়সার কামালকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন ব্যারিস্টার খোকন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির হল রুমে করা এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইন সম্পাদক ও ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালকে একহাত নিয়েছেন ব্যারিস্টার খোকন।
তিনি বলেন, কায়সার কামাল সরকারের এজেন্ট হয়ে বার নির্বাচনে কাজ করেছে। সে একটা অর্বাচীন ও কুলাঙ্গার। সময় এসেছে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার।
এ সময় কায়সার কামালের নৈতিক স্খলনের বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে অনুসন্ধানের আহ্বান জানিয়ে ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।
এর আগে, রোববার (২১ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বিগত ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আপনাকে মনোনীত করে। বিগত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও ক্ষমতাসীনরা নজিরবিহীনভাবে ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করে। এমনকি সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ দলীয় দু’জন প্রার্থী, প্রথমে নাহিদ সুলতানা যুথী ও পরে শাহ মজুরুল হককে তথাকথিত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে ৮ মার্চ সমিতির অডিটোরিয়ামে হামলা চালিয়ে আইনজীবীদের মারধর ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনা আওয়ামী লীগের দু’জন সম্পাদক পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘটিত হলেও সরকারের একজন বেতনভুক্ত আইন কর্মকর্তা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ও আরও তিনজন আইনজীবী ফোরাম নেতাকে আসামি করে গত ৯ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা দায়ের করে।
নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালনকারী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী ও ওই নির্বাচনে সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মো: রুহুল কুদ্দুসকে (কাজল) যথাক্রমে গত ৯ ও ১০ মার্চ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তার করে তাদের ডিবি অফিসে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা উভয়েই দুই সপ্তাহ কারাভোগ করেন। তাদের কারাগারে রেখে গত ১০ মার্চ লুট হয়ে যাওয়া ব্যালট পেপার গণনার নাটক সাজিয়ে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
যে নির্বাচনে আমাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে আপনাকে সভাপতি পদে ও অ্যাডভোকেট ফাতিমা আকতার, অ্যাডভোকেট মো: শফিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফজলে এলাহী অভিকে নামকাওয়াস্তে সদস্য পদে বিজয়ী দেখানো হয়।
উপরোক্ত পরিস্থিতি নিয়ে গত ২৪ মার্চ আপনার উপস্থিতিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সম্পাদকদের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনিসহ বিজয়ী ঘোষিত তিনজন সদস্যকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২০২৫ এর মেয়াদকালের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে বিগত ২৭ মার্চ তারিখে দেওয়া এক চিঠিতে আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্য পদে বিজয়ী ঘোষিত তিনজন ফোরাম সদস্য দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকলেও সংগঠনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আপনি (খোকন) গত ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এছাড়া, আপনি একই দিন সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সক্রিয় উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভার মাধ্যমে দল থেকে বহিষ্কৃত ও দলছুট কিছু সদস্যকে দিয়ে দল ও এর দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে বিষোদগার করিয়েছেন। এছাড়া আপনি আপনার বক্তব্যে আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে অবমাননাকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে ঘোষণা করেছেন, অবৈধভাবে ঘোষিত আওয়ামী লীগ দলীয় তথাকথিত একজন সম্পাদকের হাতে হাত রেখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মর্মে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/ সম্পাদকদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে আপনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে আপনার এহেন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থী হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মতভাবে আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
৭৩ নেতাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দল ও অঙ্গ সংগঠনের ৭৩ নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের পর তাদের নির্বাচন থেকে ফেরানোর নানা চেষ্টা করা হয়। এ লক্ষ্যে প্রার্থীদের কাছে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের একটি চিঠি পাঠানো হয়। পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বোঝানোর জন্য। সব উপেক্ষা করেই বিপুলসংখ্যক সাবেক ও বর্তমান নেতা নির্বাচনে নেমেছেন।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে দেশ : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত। অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য গাছপালা বন-জঙ্গল উজাড় করে, নদী নালা ভরাট করে এবং তাপবিদ্যুৎ ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশকে এখন গ্যাস চেম্বারে পরিণত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সারাদেশে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে মিরপুরে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন ‘তার বাবা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে’। তিনি বলেন শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তো বাকশাল, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে না, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না। সেদিনতো ৪টি পত্রিকা বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে বায়তুল মোকাররমে ফল বিক্রি করতেন। বর্তমানে বিগত ১৭ থেকে ১৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশে আবারও ভয়ংকর বাকশাল কায়েম করেছেন। বিপদজনক বাকশাল কায়েম করেছেন। আজকে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে ও মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে মানুষ এখন আর ভোট দিতে পারে না। সংসদকে পরিণত করা হয়েছে এন্টারটেইনমেন্ট হাউজে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ভোটের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে আমার ভাইদের জীবন দিতে হচ্ছে। দুর্নীতি আর লুটপাটরে মাধ্যমে দেশটাকে উজার করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশকে বানানো হয়েছে লীগময়। সত্য বললেই জেলে পুড়ে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সদস্য সচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় সদস্য তাবিথ আউয়াল, মহানগর উত্তর বিএনপির আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তফা জামান, আতাউর রহমান (চেয়ারম্যান), মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকে।